গরুর খামার বদলে দিয়েছে খামারির জীবন

নিজস্ব প্রতিবেদক: গরুর খামার গড়ে সাফল্য পেয়েছেন মাহফুজার রহমান বাবু। দিনাজপুরে হিলির সাতনি চারমাথা বাজারে পাঁচটি বিদেশি গরু দিয়ে খামার শুরু করেন তিনি। এরপর তাকে আর পেছনে ফিরতে হয়নি। স্বাবলম্বী হয়েছেন তিনি। বর্তমানে খামারে গরু রয়েছে ৯৬টি।

খামার ঘুরে দেখা গেছে, ফিজিয়াম ও শঙ্কর জাতের ৬০টি গাভি ও ৩৬টি বাছুরসহ আড়া গরু রয়েছে। উন্নতমানের শেটে রেখে গরুগুলোকে লালন-পালন করা হচ্ছে। প্রতিটি গরুর মাথার ওপর ফ্যান রয়েছে। পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা আছে। মলমূত্র সহজেই পরিষ্কার করা যায়। প্রতিদিন খামারে খাদ্যের জন্য খরচ হয় ১৬ হাজার টাকা।

খামারে ৮ জন শ্রমিক রয়েছেন। তারা দিনে ৫ জন ও রাতে ৩ জন কাজ করেন। ঘাস কাটার মেশিন রয়েছে। একজন পশু ডাক্তার আছেন। তিনি প্রতিদিন একবার এসে গরুগুলোকে দেখে যান।

প্রতিদিন একটি গাভি ১০ থেকে ১২ লিটার দুধ দিয়ে থাকে। তা থেকে প্রায় ৫ মণ দুধ সংগ্রহ হয়। বিরামপুরে ব্র্যাক অফিসে ৩৫ থেকে ৪০ টাকা দরে এই দুধ বিক্রি হয়। এছাড়া যে গবর পাওয়া যায়, সেই গবরগুলো ট্রাক্টর বোঝাই ১৫০০ টাকা ও পাওয়ার টিলার বোঝাই ৫০০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।

খামার শ্রমিক আব্দুর রহিম বলেন, আমরা যারা দিনে কাজ করি, মাসে ৫ থেকে ৬ হাজার টাকা বেতন পাই। রাতে যারা কাজ করেন তারা ৭ থেকে ৮ হাজার টাকা বেতন পান।

খামার মালিক মাহফুজার রহমান বাবু বলেন, আট বছর আগে প্রথমে ৫টি উন্নত জাতের বিদেশি গরু দিয়ে শুরু করি। পরে আরও গরু আমদানি করি। বর্তমানে আমার ৯৬টি গরু রয়েছে। আরও বেশি ছিলো সেগুলো বিক্রি করা হয়েছে। খামারে প্রতিদিন দুধ ও গবর থেকে আয় প্রায় ১২ হাজার টাকা।

তিনি বলেন, খামার ব্যবসা করে স্বাবলম্বী হয়েছি। প্রতি বছর কোরবানি ঈদে ভালো দামে গরু বিক্রি করে আসছি। এলাকার অনেক বেকার যুবক আমার খামার দেখে আগ্রহী হচ্ছেন। তারা খামার সম্পর্কে জানতে চায়। অনেকেই আবার দুই চারটা করে দেশি-বিদেশি গরু কিনে বাড়িতে খামার করেছেন। আমার খামারে বর্তমান প্রায় ২ কোটি টাকার গরু রয়েছে। সামনে কোরবানি ঈদে পাঁচটি সৌখিন গরু হাটে তুলবো। আশা করছি, পাঁচটি গরু ১৫ লাখ টাকা বিক্রি করতে পারবো।