খুব কষ্টের সময় আসছে- ট্রাম্প

আমেরিকায় নতুন করে সাড়ে ৪ কোটি লোক দরিদ্র হচ্ছে

আন্তর্জাতিক ডেস্ক :  যুক্তরাষ্ট্রে করোনাভাইরাসে মোট মৃত্যুর সংখ্যা তিন হাজার আটশ ৭০ জন। হোয়াইট হাউস আশঙ্কা করছে, সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরার নীতি অনুসরণ করা হলেও দেশটিতে মারা যাবে এক থেকে প্রায় আড়াই লাখ জনগণ। সব ধরনের প্রস্তুতি নেওয়া হলেও প্রায় আড়াই লাখ বাসিন্দা মারা যেতে পার বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার করোনভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সদস্যরা জানায়, করোনা থেকে বাঁচতে ১৫ দিনের যে কমিউনিটি মিটিগেশন প্রাক্টিস করা হয়েছিল তা ভালো কাজ দিয়েছে। এটি আরো বাড়ানো অপরিহার্য। হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে গাণিতিক যে মডেল অনুযায়ী কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে তা কয়েক লাখ লোকের জীবন বাঁচাতে পারে।

তবে ওই মডেল অনুযায়ী কমিউনিটি মিটিগেশন ছাড়াই, এক লাখ থেকে আড়াই লাখ লোক মারা যেতে পারে। হোয়াইট হাউসের করোনভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়কারী দেবোরাহ বির্ক্সের ডেটা প্রদর্শন চার্টে এই তথ্য দেখায়। তাই প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও তার শীর্ষ স্বাস্থ্যসেবা পরামর্শদাতারা আমেরিকানদের দুই সপ্তাহ কঠোর সামাজিক দূরত্বের পদক্ষেপগুলো অনুসরণ করার আহ্বান জানিয়েছে।

এদিকে, হোয়াইট হাউসে দেওয়া বক্তব্যে করোনাভাইরাকে ‘প্লেগ’ বলে বর্ণনা করেছে ট্রাম্প। দেশবাসীকে ‘খুবই বেদনাদায়ক’ সপ্তাহের জন্য প্রস্তুত থাকতে বলেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। ট্রাম্প বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রের পরিস্থিতি ভয়াবহ খারাপের দিকে যাচ্ছে। আগামী কয়েক সপ্তাহে করোনাভাইরাসে যুক্তরাষ্ট্রে আড়াই লাখ লোকের মৃত্যু হবে।

করোনাভাইরাস থেকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রে অবরোধ পরিস্থিতির ওপর আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে, যার ফলে প্রতি চারজন নাগরিকের তিনজনই একরকম লকডাউন পরিস্থিতিতে থাকবে। এছাড়া আর কোনো উপায় নেই বলে জানিয়েছেন হোয়াইট হাউসের করোনভাইরাস টাস্ক ফোর্সের সমন্বয়কারী দেবোরাহ বির্ক্স। রির্ক্স বলেছে, করোনা থেকে রক্ষায় যুক্তরাষ্ট্রের হাতে কোনো ম্যাজিক বুলেট নেই। কোনো যাদুর ভ্যাকসিন বা থেরাপিও নেই।

ব্রির্ক্স আরও বলেছে, প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হলেও এক লাখ মৃত্যু কিছুতেই এড়াতে পারবে না যুক্তরাষ্ট্র।