খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করেনি সরকার: রিজভী

নিউজ ডেস্ক: লন্ডন থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশে ফেরার পরপরই সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় নির্দেশনা দিয়েছে খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনার জন্য কেরানীগঞ্জের কারাগারে আদালত বসাতে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়াকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেওয়ার চক্রান্ত চলছে। ‘খালেদা জিয়ার জীবন নিয়ে ছিনিমিনি খেলা বন্ধ করেনি মধ্যরাতের অন্ধকারের সরকার’

মঙ্গলবার (১৪ মে) নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

রিজভী বলেন, ‘গুরুতর অসুস্থ খালেদা জিয়াকে পিজি (বিএসএমএমইউ) হাসপাতাল থেকে কেরানীগঞ্জ কারাগারে নেওয়ার চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র চলছে। তার চিকিৎসা সম্পন্ন হয়নি, তিনি এখনও বেশ অসুস্থ। তাকে শিগগিরই কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে নির্মিত মহিলা কম্পাউন্ডে স্থানান্তর করার অশুভ আয়োজন চলছে বলে গণমাধ্যমে খবর বেরিয়েছে।’

তিনি জানান, সোমবার (১৩ মে) খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে থাকা ১৭টি মিথ্যা মামলার বিচার কার্যক্রম নাজিম উদ্দিন রোডের পরিত্যক্ত কারাগার থেকে কেরানীগঞ্জের কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তরের প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।

রিজভী অভিযোগ করে বলেন, তার সুচিকিৎসা ও জামিনে বাধা প্রদানের পেছনে গভীর নীল নকশা এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট। পুরো আইনি প্রক্রিয়াতে প্রতিহিংসা পরায়ণতা আর জিঘাংসায় ভরপুর।’

জনগণ আশা করেছিল, সরকার রমজানে খালেদা জিয়াকে মুক্তি দেবে, উল্লেখ করে রিজভী বলেন, ‘কিন্তু বাস্তবে তারা প্রতিহিংসা পরায়ণ মানসিকতা ত্যাগ করতে পারেনি।’

আদালতকে কুক্ষিগত করে রেখে খালেদা জিয়ার জামিনে পদে পদে বাধা দেওয়া হচ্ছে দাবি করে এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা সরকারকে হুঁশিয়ার করে বলতে চাই, আগুন নিয়ে আর খেলবেন না। এই হিংসার আগুনে একদিন হয়তো আপনাদের নিজেদেরই সর্বনাশ হবে। জামিনে হস্তক্ষেপ বন্ধ করুন। আদালতের ওপর প্রভাব বিস্তার বন্ধ করুন। অবিলম্বে তাকে মুক্তি দিতে হবে।’

খালেদা জিয়ার জামিনে বাধা দিলে রাজপথেই এর ফয়সালা হবে মন্তব্য করে রিজভী আরও বলেন, ‘অন্যায়কারী-জুলুমবাজরা কখনও বিজয়ী হতে পারে নাই। এখন দেশের সব জনগণ একদিকে আর বর্তমান শাসকগোষ্ঠী আরেক দিকে। দিনের শেষে জনগণের বিজয় অবশ্যম্ভাবী।’