‘খাওন নাই খুব কষ্টে গাড়ি নিয়্যা বের অইছি’
টাঙ্গাইল সংবাদদাতা: ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গণপরিবহন চলতে শুরু করেছে। পাশাপাশি বেড়ে গেছে যানবাহন চলাচল। এ সময় মহাসড়কের মির্জাপুর, কুর্ণী, শুভুল্যা, কদিম ধল্যা, আছিমতলা ও পাকুল্যা এলাকায় অবস্থান করে গড়ে প্রতি ১০ মিনিটে একটি করে বাস চলতে দেখা গেছে। বাসগুলোর অধিকাংশই উত্তরাঞ্চল থেকে ঢাকাগামী।
এর মধ্যে সিরাজগঞ্জ থেকে বেশি বাস ঢাকার দিকে যাচ্ছে। আর জামালপুর, কেন্দুয়া, ভুয়াপুর থেকেও ঢাকাগামী বাস দেখা গেছে। তবে এই সময়টুকুতে টাঙ্গাইলগামী মাত্র তিনটি বাস দেখা গেছে। মহাসড়কে অবস্থানকালীন ওই সময়ে কোনো পুলিশি তৎপরতাও চোখে পড়েনি।
সিরাজগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী বাসচালক মাজম আলী বলেন, অন্য বাসগুলোতে গরিব যাত্রীদের একেকজনের বেশি ভাড়ায় তুলতেছিল। আমি যাত্রীদের কম ভাড়ায় গাজীপুর নিয়ে যাচ্ছি। হ্যারা বেশির ভাগ গার্মেন্টসে কাজ করে। তবে পথে পুলিশ বা অন্য কেউ তাকে বাধা দেয়নি বলে তিনি উল্লেখ করেন।
ঢাকাগামী অপর একটি বাস একটার দিকে থামে মহাসড়কের কুর্ণী এলাকায়। চালকের সহকারীকে অনুরোধ করে বাসের ভেতরে গিয়ে দেখা যায় যাত্রীদের উপচে পড়া ভিড়। বাসচালক মামুন মিয়া বলেন, কি করুম। এই কয়দিনতো বন্ধই রাখছিলাম। পেট আর চলে না। আমরা গরিব মানুষ। খাওন নাই খুব কষ্টে গাড়ি নিয়্যা বের অইছি।
বাসটির এক যাত্রী গাজীপুরের মাইক্রোফাইবার গ্রুপের একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত কাটিং মাস্টার সাইফুল ইসলাম বলেন, রোববার থেকে তাদের কারখানা চালু হবে। খবর পেয়ে ২৫০ টাকা ভাড়ায় সিরাজগঞ্জ থেকে রওনা হয়েছেন। অন্য সময় ১০০-১৫০ টাকা ভাড়ায় যেতে পারতেন। তিনি বলেন, নিষেধাজ্ঞা থাকলেও পেটের দায়ে বের হইছি।