‘কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বিপর্যয় ডেকে আনবে’

১৫টি কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ রাখবে দ. কোরিয়া

নিজস্ব প্রতিবেদক : কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ বন্ধের দাবিতে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ করেছে সবুজ আন্দোলন নামে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। শুক্রবার জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে এ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সবুজ আন্দোলন পরিচালনা পরিষদের চেয়ারম্যান বাপ্পি সরদার বলেন, কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্রে বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য কয়লা প্রথমে পাউডারে বিচূর্ণ করা হয়। চক্রের কনভেয়র যা পরবর্তীতে বয়লারে যাওয়ার আগে পালভারাইজড হয়। পিসিসি সিস্টেমের কম্বাশন চেম্বার হয়ে বয়লারে উচ্চতাপে পোড়ানো হয়।

তিনি আরও বলেন, এখানে চিমনি হয়ে কয়লা পোড়ার ধোঁয়া বের হবে আর ভস্মীভূত ছাই নিচ দিয়ে নির্গত হয়। অন্যদিকে পানি থেকে রূপান্তরিত বাষ্প টার্বাইনে উচ্চচাপে প্রবেশ করে; যেখানে হাজার প্রােপেলারকে সে হাইস্পিডে ঘোরাতে থাকে, যা বিদ্যুৎ উৎপাদন করে। এই বাষ্প টার্বাইন থেকে আবার কনডেনসারে কন্ডেন্সড হয়ে আবার বয়লারে যায় আরেকবার ব্যবহৃত হতে। এই সহজ চক্রে কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রগুলো তার উৎপাদন চক্র শেষ করে। এইখানে পরিবেশ দূষণের উপাদান নির্গত হয় চিমনি দিয়ে, নির্গত পানির সাথে এবং ভস্মীভূত ছাই হিসেবে; যা পরিবেশের ব্যাপক ক্ষতিসাধন করে। এইখানে উল্লেখ্য পানি বিশুদ্ধিকরণের জন্য ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট বসানো হলেও আমাদের জানা মতে দুনিয়াজুড়ে চিমনি দিয়ে নির্গত বিষাক্ত ধোঁয়ার কোন প্রকার ট্রিটমেন্ট করা হয় না।

তিনি বলেন, উন্নত দেশগুলো কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ থেকে সরে নবায়নযোগ্য জ্বালানী ব্যবহার করছে। ২০১৮ সালে সারাবিশ্বের মোট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ৮৫% চীন ও ভারতে নির্মিত হয়েছে। আমাদের সরকার চীন ও ভারতের প্ররোচনায় তাদের সাথে যৌথ উদ্যোগে দেশের বিভিন্ন জায়গায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ করতে যাচ্ছে, যা দেশে পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনবে। চীন ও ভারত নিজেরাও বর্তমানে কয়লা ভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র যথেষ্ট কমিয়ে দিয়েছে। সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো ২০৩০ সালের মধ্যে অর্ধেক ও ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে সকল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র বন্ধ করা হোক।