কোনো মসজিদ ভাঙা হবে না, সেগুলো ‘অ্যাডজাস্ট’ করা হবে:নৌ-প্রতিমন্ত্রী 

 

নিজস্ব প্রতিবেদক: ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু, শীতলক্ষ্যা ও ধলেশ্বরী নদীর তীরভূমিতে গড়ে ওঠা কোনো মসজিদ ভাঙা হবে না, সেগুলো ‘অ্যাডজাস্ট’ করা হবে বলে জানিয়েছেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।

মঙ্গলবার রাজধানীর মতিঝিলে বিআইডব্লিউটিএ ভবনে ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও ধলেশ্বরী নদীর তীরভূমিতে গড়ে ওঠা দ্বীনি প্রতিষ্ঠানসমূহ স্থানান্তরের বিষয়ে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা জানান।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, মসজিদগুলো আলোকিত ও সৌন্দর্যম-িত হবে। সুন্দর স্থাপত্য ডিজাইন থাকবে। মসজিদ দেখে মন ভরে যাবে। সেক্ষেত্রে সকলের সহযোগিতা দরকার। সরকার সহায়তা করবে। ধর্ম মন্ত্রণালয়, ইসলামিক ফাউন্ডেশন এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাথে বৈঠক করে মসজিদগুলোর এ্যাডজাস্টের লক্ষ্যে সাব-কমিটি গঠন করা হবে।

তিনি বলেন, সরকার সারাদেশে ৫০০ মসজিদ কমপ্লেক্স নির্মাণ করছে। ৫০টি মসজিদ নির্মাণ করা অসম্ভব নয়। এ লক্ষ্যে একটি প্রকল্প গ্রহণ করা যায়।

দ্বীনি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের উদ্দেশে প্রতিমন্ত্রী বলেন, আপনাদের মতামতের ভিত্তিতে পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে। আপনাদের সাথে আবার আলোচনা করা হবে।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, শুধু ঢাকার নয়, সমগ্র বাংলাদেশের নদীগুলোকে রক্ষা করতে হবে। যদি নদীগুলোকে রক্ষা করতে না পারি, তাহলে বাংলাদেশকে রক্ষা করা কঠিন হয়ে পড়বে। আপনাদের সাথে নিয়ে নদী রক্ষায় যুদ্ধ করতে চাই।

তিনি বলেন, নদী তীর রক্ষা, দখল ও দূষণরোধে অপসারণ কার্যক্রমের সময় আমরা পবিত্র জায়গাগুলোতে হাত দিতে পারতাম, কিন্তু করিনি। পবিত্র দৃষ্টিভঙ্গি থেকে নামাজ আদায়ের জন্য এগুলো করা হয়েছে।

তিনি বলেন, নদীগুলোর মর্মান্তিক অবস্থা দেখলে অসুস্থ হয়ে পড়বেন। নদীগুলোকে রক্ষা করা দরকার। এজন্য সামগ্রিক ঐক্য দরকার। প্রধানমন্ত্রী দেশরতœ শেখ হাসিনা নদী উদ্ধারে জোর দিয়েছেন। সরকার জনগণের সেবক।

খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, পরিবেশ দূষণমুক্ত করে নদীগুলোকে সুন্দর করতে চাই। আগামী ১০-১২ বছরের মধ্যে বুড়িগঙ্গার পানিকে স্বচ্ছ করতে চাই। বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, শীতলক্ষ্যা ও বালু নদীর তীরভূমিতে সীমানা পিলার, তীররক্ষা, ওয়াকওয়ে ও জেটিসহ আনুষঙ্গিক অবকাঠামো নির্মাণে প্রকল্পের কাজ চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, ঢাকা, টঙ্গী ও নারায়ণগঞ্জ নদী বন্দরের নিয়ন্ত্রণাধীন বুড়িগঙ্গা, তুরাগ, বালু ও ধলেশ্বরী নদীর তীরভূমিতে (বৃত্তাকার নৌপথ অংশে) ১১৩টি ধর্মীয়/শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। এগুলোর মধ্যে ৭৭টি মসজিদ, মাদরাসা, এতিমখানা ও মাজার, ৫টি কবরস্থান ও মৃত ব্যক্তির গোসলখানা, একটি ঈদগাহ, ১৪টি স্কুল ও কলেজসহ অন্যান্য স্থাপনা।