কাঁচা পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

কাঁচা পাটের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করুন

ড. জাহাঙ্গীর আলম

পাট বাংলাদেশের সোনালি আঁশ। বর্তমানে দেশে পাটচাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ। জিডিপিতে পাটের অবদান শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং কৃষি জিডিপিতে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।
ফাইল ছবি
পাট বাংলাদেশের সোনালি আঁশ। বর্তমানে দেশে পাটচাষীর সংখ্যা প্রায় ৩৫ লাখ। জিডিপিতে পাটের অবদান শূন্য দশমিক ২৫ শতাংশ এবং কৃষি জিডিপিতে ১ দশমিক ৩ শতাংশ।

মোট শ্রমশক্তির প্রায় ১২ শতাংশ নিয়োজিত রয়েছে পাট উৎপাদনের কাজে। পাট শিল্পে জড়িত আছেন ১ লাখ ৬২ হাজার শ্রমিক। এর মধ্যে সরকারি সংস্থা বিজেএমসি প্রায় ১৫ শতাংশ এবং বেসরকারি সংস্থা বিজেএসএ ও বিজেএমইএ মিলে ৮৫ শতাংশ শ্রমিকের কর্মসংস্থান করছে। মোট রফতানি আয়ের প্রায় ৩ শতাংশ উপার্জিত হয় পাট ও পাটপণ্য রফতানি থেকে। তৈরি পোশাক শিল্পের পর এটি এখন দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম রফতানি খাত।

পাট থেকে আহরিত মোট বৈদেশিক মুদ্রার প্রায় এক-চতুর্থাংশ আসে কাঁচা পাট রফতানি থেকে। দেশের কৃষকের জন্য নগদ অর্থের সংস্থান করে যাচ্ছে পাট। মহাজনদের বা ব্যাংকের ঋণ পরিশোধ, ছেলেমেয়ের পড়ার খরচ, সন্তানের বিয়ে, বউয়ের শাড়ি ও গহনা, জমি কেনা- সবই হয় চাষীদের পাট বিক্রির অর্থ দিয়ে।

গ্রামে ও শহরে আদিকাল থেকে পাটের জমজমাট ব্যবসা করছেন অনেক মানুষ। দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়ে উঠেছে বাজার, পাটগুদাম, পাটকল ও বাণিজ্য কেন্দ্র; যাতে কর্মসংস্থান হচ্ছে অনেকের। তাছাড়া এ চরম জ্বালানি সংকটের যুগে গ্রাম-বাংলার রান্নার কাজে চমৎকার এক পুনরুৎপাদনক্ষম জৈব জ্বালানি হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে পাটকাঠি।

শুধু তাই নয়, বাংলাদেশের কাঁচা পাট ও পাটজাত পণ্য যাচ্ছে যুক্তরাজ্যে, মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপের বিভিন্ন দেশে, রাশিয়ায়, চীনে, থাইল্যান্ডে, ভিয়েতনামে, ভারতে, ব্রাজিলে, আমেরিকায়, অস্ট্রেলিয়ায় এবং আরও অনেক দেশে। তাতে আয় হচ্ছে অনেক বৈদেশিক মুদ্রা।

সম্প্রসারিত হচ্ছে আমাদের বৈদেশিক বাণিজ্য ও কূটনৈতিক সম্পর্ক। পাটকে কেন্দ্র করে রচিত হয়েছে এ দেশের অর্থনীতি ও সংস্কৃতি। পাকিস্তান আমল থেকে অদ্যাবধি এখানকার রাজনীতির অঙ্গনও মুখর করে রেখেছে পাট। পাটকে ঘিরে অতীতে অনেক স্বপ্ন দেখেছে এ দেশের মানুষ। হয়তো দেখবে ভবিষ্যতেও।

পাট গবেষণার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অনেক সাফল্য আছে। সম্প্র্রতি সাদা পাটের ৬টি উচ্চফলনশীল জাত, তোষা পাটের ৮টি, কেনাফের ৪টি ও মেস্তার ৩টি উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবন ও অবমুক্ত করা হয়েছে।

এগুলোর সম্প্রসারণ চলছে মাঠপর্যায়ে। বর্তমানে সাদা ও তোষা পাটের গড় ফলন পৃথিবীর পাট উৎপাদনকারী দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশেই বেশি। অর্ধশতাব্দী ধরে এ দেশে পাটের ফলন বেড়েছে উল্লেখযোগ্য মাত্রায়। এর পেছনে দেশের কৃষিবিজ্ঞানীদের এবং পাট গবেষণা ইন্সটিটিউটের অবদান অনস্বীকার্য। সম্প্রতি পাটের বংশগতি বিন্যাস (জেনম সিকোয়েন্স) উদ্ভাবিত হয়েছে। তাতে রোগ ও পোকা প্রতিরোধক আরও উচ্চফলনশীল জাত উদ্ভাবনের সম্ভাবনা

উন্মোচিত হয়েছে। বর্তমানে বৈশ্বিক উষ্ণায়ন ও আবহাওয়া পরিবর্তনের ফলে এ দেশে কৃষি পরিবেশের দ্রুত পরিবর্তন হচ্ছে। এখন আমাদের এমন পাটের জাত উদ্ভাবন করতে হবে যা খরা, লবণাক্ততা ও শীতসহিষ্ণু। সারা বছর ধরে উৎপাদন উপযোগী পাটজাত উদ্ভাবন এখন আমাদের ভাবনায় নিয়ে আসতে হবে।

গবেষণার মাঠে নতুন উদ্ভাবিত পাটজাতের ফলন বেশি; কিন্তু কৃষকের মাঠে তা কম। উদাহরণস্বরূপ, বর্তমানে উদ্ভাবিত পাটজাতগুলোর গড় ফলন সক্ষমতা ৩ দশমিক ৫ টন প্রতি হেক্টরে। কৃষকের মাঠে তার প্রকৃত ফলন প্রায় ২ টন। অর্থাৎ গবেষণার মাঠে ও কৃষকের মাঠে প্রাপ্ত উৎপাদনে বড় ধরনের ফারাক বিদ্যমান। এটি কমাতে হবে। এর জন্য গবেষণা ও সম্প্রসারণ কর্মীদের মধ্যে জোরালো সমন্বয় প্রয়োজন। পাট গবেষণা ও সম্প্রসারণে বিনিয়োগ বাড়ানো প্রয়োজন।

বিশ্বে এখন (২০১৮ সালের তথ্য) পাটের মোট উৎপাদন ৩ দশমিক ৯ মিলিয়ন টন। ২০০৭-২০১৮ সালের মধ্যে ১১ বছরে গড়ে প্রতিবছর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে ১ দশমিক ৮ শতাংশ হারে। ওই বছর ভারতের উৎপাদন ছিল ২ দশমিক ১ মিলিয়ন টন এবং বাংলাদেশের উৎপাদন ছিল ১ দশমিক ৬ মিলিয়ন টন বা প্রায় ৮৯ লাখ বেল। ভারত ও বাংলাদেশ মিলে বিশ্বের ৯৩ শতাংশ উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে। ২০১৮ সাল নাগাদ ১১ বছরে বাংলাদেশের পাট উৎপাদন ৫ দশমিক ৮ শতাংশ হারে বৃৃদ্ধি পেয়েছে। আবাদি জমির পরিমাণ বেড়েছে ৪ দশমিক ৪ শতাংশ হারে। হেক্টরপ্রতি পাটের ফলনও বেড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে।

পাট ও পাটজাত পণ্য রফতানির ক্ষেত্রে বিশ্ববাজারে এখনও বাংলাদেশের আধিপত্য বিরাজমান। বিশ্বের মোট পাট রফতানির ৭৯ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে বাংলাদেশ। তাছাড়া ভারত ৪ দশমিক ৮ শতাংশ এবং তানজানিয়া, বেলজিয়াম, কেনিয়া ও মালয়েশিয়া মিলে ১৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। কাঁচা পাট রফতানির ক্ষেত্রে বাংলাদেশের শরিকানা ৯৭ শতাংশ এবং পাটজাত দ্রব্যের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশেরও বেশি। বাংলাদেশি কাঁচা পাট প্রধানত রফতানি করা হয় ভারত, পাকিস্তান, চীন, ইউরোপ, আইভরি কোস্ট, থাইল্যান্ড এবং অন্যান্য দেশে।

পাটজাত দ্রব্য রফতানি করা হয় ইউরোপ, তুরস্ক, ইরাক, সিরিয়া, মিসর, অস্ট্রেলিয়া, সৌদি আরব, জাপান, সুদান, ঘানা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য দেশে। বর্তমানে পাটের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে পৃথিবীর আরও অনেক দেশে। তার কারণ পলিথিন এবং সিনথেটিকের ব্যবহার বিশ্বব্যাপী এখন নিরুৎসাহিত করছে পরিবেশবাদীরা। পলিথিন ও সিনথেটিক দ্রব্য পচনশীল নয়। পরিবেশের জন্য এগুলো মারাত্মক ক্ষতিকর। অপরদিকে পাট পরিবেশবান্ধব। তাই এর চাহিদা বিশ্বব্যাপী বাড়ছে।

২০১৮ সালে প্রতি টন পাটের রফতানিমূল্য ছিল ৭৩৪ মার্কিন ডলার। ২০০৭ সাল থেকে পরবর্তী ১১ বছরে তা প্রতিবছর গড়ে ৫ দশমিক ৭ শতাংশ হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। এ প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে আগামীতেও। ইতোমধ্যে থাইল্যান্ড ও ভিয়েতনামে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে পাটের থলে ব্যবহার বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

কেনিয়া ও রুয়ান্ডায় পাটের বস্তার ব্যবহার বৃদ্ধি পাচ্ছে। ইউরোপে পাটপণ্যের ব্যবহার উৎসাহিত করা হচ্ছে। সম্প্রতি জাতিসংঘের ৭৪৩তম সাধারণ পরিষদে দ্বিতীয় কমিটিতে ‘প্রাকৃতিক তন্তুর উদ্ভিজ ও টেকসই উন্নয়ন’ শিরোনামে পাটসহ প্রাকৃতিক তন্তুর ব্যবহারবিষয়ক একটি প্রস্তাব গৃহীত হয়েছে। এর ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে পাটের চাহিদা ও মূল্যবৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা সৃষ্টি হয়েছে। তাছাড়া অভ্যন্তরীণ বাজারেও পাটের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে।

ইতোমধ্যে সরকার দেশে উৎপাদিত ১৯টি পণ্যের মোড়কে পাটের ব্যাগ-থলে-বস্তা ব্যবহারের নির্দেশ প্রদান করে আইন প্রণয়ন করেছে। এ আইনের পুরোপুরি বাস্তবায়ন সম্ভব হলে দেশের অভ্যন্তরে পাটের ব্যবহার উল্লেখযোগ্য হারে বৃদ্ধি পাবে।

বর্তমানে সারা বিশ্বে পাটের ব্যবহার প্রতি ১০০০ জনে ৫১২ কেজি। ভারতে তা ১৫৫২ কেজি, পাকিস্তানে ৪৫৩ কেজি ও চীনে ৫৪ কেজি। বাংলাদেশে বার্ষিক ব্যবহার প্রতি ১০০০ জনে ৮১৫৪ কেজি। ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। এ বিপুল পরিমাণ চাহিদা মেটানোর জন্য পাটের উৎপাদন বাড়াতে হবে, পাটপণ্যের উৎপাদনে বৈচিত্র্যকরণ নিশ্চিত করতে হবে এবং পণ্যের মান বাড়াতে হবে। এর জন্য পাটকলগুলোর আধুনিকায়ন দরকার, শ্রমিকদের দক্ষতা বাড়ানো দরকার।

স্বাধীনতার পর ১৯৭২ সালে মোট ৭৯টি মিল নিয়ে আমাদের যাত্রা শুরু হয়। তখন পাকিস্তানিরা চলে গেলে পাটকলগুলো রাষ্ট্রীয়করণ করা হয়। পাট ব্যবসা, পাট রফতানির সব দায়িত্ব নেয় সরকার। দেশের অভ্যন্তরে পাট কেনা ও পাটপণ্য উৎপাদনের একচেটিয়া দায়িত্ব নেয় বিজেএমসি (বাংলাদেশ জুট মিলস কর্পোরেশন)। ৪৮ বছরে এ সংস্থাটি লাভ করেছে ৪ বার আর লোকসান গুনেছে ৪৪ বার।

এ সময়ে বিজেএমসিকে সরকার ভর্তুকি দিয়েছে ১০ হাজার ৬৭৪ কোটি টাকা এর অধীনস্থ মিলগুলোর লোকসান মেটানোর জন্য। ১৯৭৫-পরবর্তী সরকার বিজেএমসির পাটকলগুলো বিরাষ্ট্রীয়করণ শুরু করে। বেসরকারি খাতকে পাট ব্যবসা ও পাট রফতানির অনুমতি দেয়া হয়। ২০০২ সালে ক্রমাগত লোকসানের অজুহাতে বন্ধ করে দেয়া হয় আদমজী, নিশাত ও দৌলতপুর জুটমিল।

তাতে কর্মচ্যুত হয় প্রায় ২৫ হাজার শ্রমিক। এরপরও মোট ২১৯টি পাটকলের মধ্যে সরকারের নিয়ন্ত্রণে ছিল ২৬টি পাটকল। ১ জুলাই থেকে ধারাবাহিকভাবে লোকসানে থাকা রাষ্ট্রায়ত্ত পাটকলগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। এগুলো ভবিষ্যতে পরিচালিত হবে পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপে (পিপিপি), যৌথ উদ্যোগে জিটুজি এবং লিজ মডেলে।

সেই সঙ্গে মিলগুলোকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাহিদা মোতাবেক পণ্য উৎপাদনের জন্য আধুনিকায়ন করা হবে। এ মিলগুলোয় কর্মরত ২৪ হাজার ৮৮৬ জন স্থায়ী শ্রমিককে পাঠানো হচ্ছে স্বেচ্ছা অবসরে (গোল্ডেন হ্যান্ডশেক)। তাদের এবং ২০১৪ সাল থেকে অবসরে যাওয়া আরও ৮ হাজার ৯৫৪ জন শ্রমিকের প্রাপ্য সব বকেয়া ও শ্রমিকের সিপিএফ খাতে জমা, গ্র্যাচুইটি এবং সেই সঙ্গে গ্র্যাচুইটির ওপর ২৭ শতাংশ হারে অধিক সুবিধা একযোগে প্রদান করা হবে। এর অর্ধেক দেয়া হবে সঞ্চয়পত্রে। বাকিটা দেয়া হবে নগদে।

তাতে একজন শ্রমিক চাকরির মেয়াদ অনুযায়ী গড়ে ১৩ লাখ ৮৬ হাজার টাকা থেকে ওপরে ৫৪ লাখ টাকা পর্যন্ত অবসায়নের সুবিধা পাবেন। তাছাড়া সঞ্চয়পত্রের সুদ বাবদ প্রতি তিন মাসে পাবেন সর্বনিু ১৯ হাজার ৩২০ এবং সর্বোচ্চ ৭৪ হাজার ৫২০ টাকা পর্যন্ত। তদুপরি নতুন উদ্যোগে পরিচালিত আধুনিক মিলগুলোয় অবসায়নকৃত শ্রমিকদের অগ্রাধিকার ভিত্তিতে নিয়োগ দেয়া হবে। এ ক্ষেত্রে তাদের সব সংকট নিরসনের জন্য ব্যাপক উদ্যোগ নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সরকারি পাটকলগুলো বন্ধের প্রক্রিয়া চলাকালে কাঁচা পাট উঠতে শুরু করেছে বাজারে। এখন পাট কাটা, জাগ দেয়া, আঁশ ছাড়ানো ও শুকানো এবং পাট বিপণনের সময়। শুরুতে বাজারে মণপ্রতি পাটের দর ছিল ২০০০-২১০০ টাকা। এখন তা নেমে এসেছে ১৮০০-১৯০০ টাকায়। পাট বিক্রি পুরোদমে শুরু হলে এ মূল্য আরও কমে আসবে। এবার পাটের উৎপাদন খরচ মণপ্রতি ১৫০০-১৬০০ টাকা। দেশের অঞ্চল ও পাটের প্রকারভেদে পাটের ক্রয়মূল্য ও উৎপাদন খরচের পার্থক্য আছে।

তবে মোটামুটি হিসেবে এখনও পাট কৃষকের জন্য লাভজনক। বিজেএমসি বাজারে না এলে এবং একচেটিয়াভাবে ব্যক্তি খাতের মিলগুলো পাট ক্রয় করলে কৃষক পাটের ন্যায্যমূল্য নাও পেতে পারেন। তাদের জন্য কী কোনো উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার?

কাঁচা পাটের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তির জন্য এর ইউনিটপ্রতি মূল্য নির্ধারণের সুযোগ আছে। ভারতে তা উৎপাদন মৌসুম শুরুতেই ঘোষণা করা হয়। বাংলাদেশে ২০১৭ সালে প্রণীত জুট অ্যাক্ট এবং পরে প্রস্তুতকৃত পাটনীতিতে পাটের সর্বনিু মূল্য নির্ধারণের কথা বলা আছে। এর বাস্তবায়ন দরকার।

এবার পাটের ইউনিটপ্রতি উৎপাদন হবে কম। মাঘ মাসে বৃষ্টির দেখা মেলেনি দেশের অনেক অঞ্চলে। কৃষক পাট বুনেছে দেরি করে। তদুপরি বিভিন্ন স্থানে বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মাঠে দাঁড়ানো পাট। তাতে বিঘাপ্রতি পাটের ফলন ও লাভ কম হবে। তার ওপর কাঁচা পাটের বাজার মূল্য হ্রাস পেলে কৃষকের লোকসান গুনতে হবে। এ করোনাকালে আর্থিক সংকটে পড়বেন কৃষক। এ পরিস্থিতিতে কৃষক যাতে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত না হয় তার বিধান করা দরকার। পাটের ন্যায্যমূল্য প্রাপ্তি নিশ্চিত করা দরকার।

ড. জাহাঙ্গীর আলম : কৃষি অর্থনীতিবিদ