কমে গেছে সিলিন্ডার বিক্রি, বেড়েছে লাকড়ির দাম

নিজস্ব প্রতিবেদক: অর্ধেকে নেমেছে সিলিন্ডার বিক্রি, বেড়েছে লাকড়ির দামঅর্ধেকে নেমেছে সিলিন্ডার বিক্রি, বেড়েছে লাকড়ির দাম

দাম বাড়ায় গাজীপুরে সিলিন্ডার গ্যাস বিক্রি কমেছে। এই সংখ্যা ৫০ শতাংশের নিচে নেমেছে বলে জানিয়েছেন সিলিন্ডার বিক্রেতারা। অপরদিকে গ্যাসের পরিবর্তে লাকড়ি ব্যবহার করছেন গ্রাহকরা। এ সুযোগে লাকড়ির দাম বাড়িয়ে দিয়েছেন ব্যবসায়ীরা।

কালীগঞ্জ পুরাতন ব্যাংকের মোড় এলাকার বি এম গ্যাস সিলিন্ডার কোম্পানির ডিলার আজমল হুদা মিঠু বলেন, আন্তর্জাতিক বাজারে গ্যাসের দাম বাড়ায় দেশে সিলিন্ডারের দাম বেড়েছে। রিফিল করা গ্যাসগুলো দুবাই এবং সিঙ্গাপুর থেকে আমদানি হয়। কয়েকদিনের ব্যবধানে বিভিন্ন কোম্পানির সিলিন্ডারের দাম একাধিকবার বাড়ায় দাম নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। এলপিজি ১২ কেজির সিলিন্ডারের পাইকারি রিফিল মূল্য ১২০০ টাকা। ভোক্তা পর্যায়ে ১২৫৯ টাকা।

তিনি বলেন, আগে ১৪-১৫ ট্রাকে সিলিন্ডার রিফিল করতে আনা হতো। এখন পাঁচ-ছয় ট্রাক আসছে। রিফিল করা সিলিন্ডারের বিক্রি অর্ধেকের নিচে নেমেছে।

কালীগঞ্জ মহিলা কলেজ রোড ওয়াপদা গেটের সামনের মেসার্স মিতালী করপোরেশনের স্বত্বাধিকারী ও বসুন্ধরা এলপিজির ডিস্ট্রিবিউটর রাজু আহমেদ বলেন, সিলিন্ডারের দাম বাড়ায় ক্রেতার সংখ্যা কমে গেছে। বাজারের পরিস্থিতি দেখে মনে হচ্ছে এই সংখ্যা আরও কমবে। সিলিন্ডারের দাম বাড়ানোতে আমাদের হাত নেই।

শ্রীপুর পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকার সিলিন্ডার বিক্রেতা ও মান্নান এন্টারপ্রাইজের মালিক মাসুদ রানা বলেন, আগে প্রতিদিন যে পরিমাণ সিলিন্ডার বিক্রি হতো বর্তমানে তা অর্ধেকের নিচে নেমেছে। সব ক্রেতাই দাম বাড়ায় ব্যবহার কমানোর কথা বলেছেন। কিন্তু আমাদের কিছুই করার নেই।

কাপাসিয়া-শ্রীপুর সড়কের গোসিংগা ইউনিয়নের পটকা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুল মোতালেব অবসরপ্রাপ্ত সরকারি কর্মচারী। তিনি বলেন, গ্যাসের দাম বাড়ায় রিফিল করা সিলিন্ডার কিনছি না। ১০ দিন আগে আমার সিলিন্ডারের গ্যাস ফুরিয়ে গেছে। সিলিন্ডার না কিনে লাকড়ি কিনেছি। আগের মতো মাটির চুলায় সংসারের রান্নাবান্নার কাজ শুরু হয়েছে।
শ্রীপুরের পৌরসভার কেওয়া বাজারের লাকড়ি ব্যবসায়ী ফজলুল হক বলেন, গাছের ডালপালার মণ ২০০ টাকা বিক্রি করতাম। কয়েকদিন ধরে দেখছি, অনেক মানুষ লাকড়ি কিনতে আসছে। আগে মাসেও এত লাকড়ি বিক্রি হয়নি যা গত কয়েকদিনে হয়েছে। সিলিন্ডার গ্যাসের দাম বাড়ায় লাকড়ির চাহিদা বেড়েছে। বর্তমানে ২৫০ টাকা লাকড়ির মণ বিক্রি করছি।