এখনো শেয়ারবাজারে পতন অব্যাহত

গভীর মন্দায় পড়েছে ইউরোজোনের অর্থনীতি

নিজস্ব প্রতিবেদক : দরপতন পিছু ছাড়ছে না শেয়ারবাজারের। সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস বৃহস্পতিবার (৫ মার্চ) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) এবং চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জের (সিএসই) সবকটি মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। এ নিয়ে শেষ ১১ কার্যদিবসের মধ্যে ৯ কার্যদিবসেই দরপতন হলো।

এদিন লেনদেনের শুরু থেকেই মূল্য সূচক ছিল বেশ অস্থির। লেনদেনের প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স ১১ পয়েন্ট বেড়ে যায়। তবে ৫ মিনিটের মধ্যেই সূচকটি ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। এতে প্রথম ২০ মিনিটের লেনদেনে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক কমে ১৪ পয়েন্ট।

অবশ্য পরের ১০ মিনিটে আবার ঊর্ধ্বমুখী হয় সূচক। বেলা ১১টায় ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক বাড়ে ৮ পয়েন্ট। এরপর আবার নিম্নমুখী হয়ে বেলা ১১টা ২৪ মিনিটে সূচকটি ২০ পয়েন্ট কমে যায়। তবে পাঁচ মিনিটের ব্যবধানে আবার ঘুরে দাঁড়ায় সূচক। এতে দুপুর ১২টায় ডিএসইর প্রধান সূচক ১৬ পয়েন্ট বেড়ে যায়।

কিন্তু এরপর টানা নিম্নমুখী হতে থাকে সূচক, যা দিনের লেনদেনে শেষ পর্যন্ত অব্যাহত থাকে। ফলে দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের তুলনায় ২৫ পয়েন্ট কমে চার হাজার ৩৮৪ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ৪৬২ পয়েন্টে এবং ডিএসইর শরিয়াহ্ ৭ পয়েন্ট কমে এক হাজার ১৫ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

মূল্য সূচকের এই পতনের পাশাপাশি ডিএসইতে লেনদেনে অংশ নেয়া বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। দিনভর বাজারে লেনদেনে অংশ নেয়া ১০৫টির প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম আগের দিনের তুলনায় বেড়েছে। বিপরীতে কমেছে ২১৩টির। ৩৭টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে।

এদিকে ডিএসইতে লেনদেনের পরিমাণও কমেছে। দিনভর বাজারে লেনদেন হয়েছে ৪১৫ কোটি ১৩ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ৫১০ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৯৫ কোটি ৫৩ লাখ টাকা।

টাকার অঙ্কে ডিএসইতে সব থেকে বেশি লেনদেন হয়েছে লাফার্জহোলসিমের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৩ কোটি ৮৬ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা ওরিয়ন ফার্মার শেয়ার লেনদেন হয়েছে ৮ কোটি ৩৯ লাখ টাকা। ৭ কোটি ৯৩ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে নাহি অ্যালুমিনিয়াম।

এছাড়া লেনদেনের শীর্ষ ১০ কোম্পানির মধ্যে রয়েছে- বিকন ফার্মাসিউটিক্যাল, সিভিও পেট্রোকেমিক্যাল, ওরিয়ন ইনফিউশন, ব্র্যাক ব্যাংক, ভিএফএস থ্রেড ডাইং, হাক্কানি পাল্প এবং সোনার বাংলা ইন্স্যুরেন্স।