একুশে গ্রন্থমেলার উদ্বোধন প্রধানমন্ত্রীর

বইমেলা প্রধামমন্ত্রী

ঢাকা: অমর একুশে গ্রন্থমেলা-২০১৬’র উদ্বোধন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সোমবার বিকেলে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, মুক্ত হয়ে, মুক্ত মনে বইমেলায় ঘুরে বেড়ানোর প্রত্যাশায় রয়েছি। এই বাংলা একাডেমিতে অনেক সময় কেটেছে আমার। এটি আমার প্রিয় জায়গা। শেখ হাসিনা বলেন, এখানে আসতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে অনেক নিয়মে বন্দি থাকতে হয় এখন।

স্টল ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন প্রধানমন্ত্রী
স্টল ঘুরে ঘুরে বই দেখছেন প্রধানমন্ত্রী

সরকারি কাজে ব্যস্ত থাকতে হয়। আবার কবে বইমেলায় আগের মতো ঘুরে বেড়াতে পারবো! মুক্ত হয়ে বইমেলায় ঘুরে বেড়ানোর প্রত্যাশায় থাকলাম। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন এমিরিটাস অধ্যাপক আনিসুজ্জামান।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভাষাকে সমৃদ্ধ করার জন্য অনুবাদ সাহিত্যের প্রতি গুরুত্বারোপ করে বলেছেন, আমাদের সাহিত্যের ধ্রুপদী ও স্বনির্বাচিত সাহিত্য সম্ভার বিশ্ব পাঠকের কাছে পৌঁছে দিতে আরো ব্যাপক ভিত্তিক ও মানসম্মত অনুবাদ অতীব জরুরি।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রতিবারই যখন বইমেলায় আসি অনুবাদের ওপর খুব গুরত্ব আরোপ করে থাকি।বইমেলা প্রধামমন্ত্রী 3

অনুবাদ সাহিত্যের দিকে গুরুত্ব দিতে বললেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, আমাদের গ্রন্থ,সাহিত্য যেমন অন্যভাষায় অনুবাদ হবে তেমনি অন্যভাষার সাহিত্যও বাংলা ভাষায় অনুবাদ হলে আমরা সেদেশের ভাষা-সাহিত্য সম্পর্কে জানতে পারব।
প্রধানমন্ত্রী এবারের ফ্রাংকফুটের বই মেলার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, এবার ফ্রাংকফুটের বইমেলার সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ ঘটেছে। ভবিষ্যতে এধরনের আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলে বাংলাভাষাকে তুলে ধরার সুযোগ কাজে লাগানোর প্রতিও তিনি গুরুত্বারোপ করে শীঘ্রই মীর মশাররফ হোসেনের ’বিষাদ সিন্ধু’ কাব্যগ্রন্থের ইংরেজি অনুবাদ প্রকাশিত হবে বলেও জানান।
শেখ হাসিনা সোমবার বিকেলে বাংলা একাডেমিতে অমর একুশে ফেব্রুয়ারির মাসব্যাপী গ্রন্থমেলার উদ্বোধনকালে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন।

অনুষ্ঠানে ১১ লেখক, সাহিত্যিক অনুবাদকের হাতে এবারের বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

দশটি ক্যাটাগরিতে মোট ১১ জনকে এবার এ পুরস্কার দেয়া হয়েছে। পুরস্কারের অর্থমূল্য এক লাখ টাকা। বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান গত ২৮ই জানুয়ারি এবারের পুরস্কারের জন্য মনোনীতদের নাম ঘোষণা করেন। এবার কবিতায় আলতাফ হোসেন, কথাসাহিত্যে শাহীন আখতার, প্রবন্ধে যৌথভাবে আবুল মোমেন ও আতিউর রহমান, গবেষণায় মনিরুজ্জামান, অনুবাদে আব্দুস সেলিম, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সাহিত্যে তাজুল মোহম্মদ বাংলা একাডেমি পুরস্কার পেয়েছেন। আর আত্মজীবনী/স্মৃতিকথা/ভ্রমণকাহিনী ক্যাটাগরিতে ফারুক চৌধুরী, নাটকে মাসুম রেজা, বিজ্ঞান/প্রযুক্তি/পরিবেশ ক্যাটাগরিতে শরীফ খান এবং শিশুসাহিত্যে সুজন বড়ুয়া পেয়েছেন এ পুরস্কার।