ইরান থেকে ইরাকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইরান থেকে ইরাকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানো হয়েছে। ইরাকি প্রশাসন এই পদক্ষেপ নিয়েছে। তবে ইরানে অবস্থিত ইরাকি নাগরিকরা এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়বে না। তাদের নিজ দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।

সাম্প্রতিক সময়ে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ ইরানে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে গেছে। এশিয়ার বাইরে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে ইরানে। সেখানে কমপক্ষে ২৮ জনের শরীরে নভেল করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। অপরদিকে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ছয়জন।

করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়তে পারে এমন আশঙ্কায় ইরান থেকে লোকজনের ইরাকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। শনিবার তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধানমন্ত্রী আদেল আবদুল মাহদি এক বিবৃতি জারি করে ইরাক থেকে ইরানে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা বাড়ানোর ঘোষণা দেন।

তবে কতদিন পর্যন্ত এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে সে বিষয়টি ওই বিবৃতিতে স্পষ্ট করা হয়নি। গত বৃহস্পতিবার প্রথমবারের মতো ইরান থেকে ইরাকে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আনা হয়। পরবর্তীতে তা আরও বাড়ানো হয়েছে।

এদিকে, চীনের হুবেই প্রদেশ থেকে ছড়িয়ে পড়া প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দুই হাজার ৪৬২ জনে দাঁড়িয়েছে। হুবেইয়ের স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, শনিবার এই ভাইরাসে প্রদেশটিতে একদিনে মৃত্যু হয়েছে আরও ৯৬ জনের। সবমিলিয়ে হুবেই প্রদেশে করোনায় দুই হাজার ৩৪৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।

চীনসহ বিশ্বের প্রায় ৩০টি দেশ ও অঞ্চলে করোনাভাইরাসের প্রকোপ ছড়িয়ে পড়েছে। ইরান ছাড়াও সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, ইসরায়েল এবং লেবাননেও এই ভাইরাসে আক্রান্তের খবর পাওয়া গেছে। তবে এখনও পর্যন্ত ইরাকে কারো আক্রান্তের খবর পাওয়া যায়নি।

শনিবার তৃতীয়দিনের মতো ইরানের সঙ্গে ইরাক সীমান্ত বন্ধ রাখা হয়। তবে শুধুমাত্র ইরাকি নাগরিকদের দেশে প্রবেশের অনুমতি দেয়া হয়েছে। কিন্তু সে ক্ষেত্রেও তাদের বিমানবন্দরে স্ক্রিনিং করা হয়েছে। ইরান থেকে ইরাকে বা ইরাক থেকে ইরানগামী সব ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

এদিকে, করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে দক্ষিণ কোরিয়ায় আরও দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে দেশটিতে এই ভাইরাসে মোট চারজন প্রাণ হারিয়েছে। অপরদিকে, আরও ১২৩ জন নতুন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৫৫৬ জনে।

এছাড়া জাপানে তিনজন এবং হংকং, ইতালিতে দু’জন করে এই ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছে। তাইওয়ান, ফিলিপাইন ও ফ্রান্সে একজন করে করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগীর মৃত্যু হয়েছে।