‘ইরাকে অবস্থান করবে ন্যাটো বাহিনী’

ন্যাটোর প্রধান জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছে, ইরাকের অনুরোধের কারণেই দেশটিতে অবস্থান করবে ন্যাটো সেনারা। সোমবার বাগদাদ সফরের সময় সে একথা বলে।

স্টলটেনবার্গ বলে, ইরাকের অনুরোধের কারণেই ন্যাটো বাহিনী সেখানে অবস্থান করছে। ইরাকের আমন্ত্রণ এবং সম্মতি ছাড়া আমরা ইরাকে থাকছি না। যতদিন প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি সময় আমরা ইরাকে থাকব না। আমরা ইরাকের সামরিক বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দিচ্ছি যেন তারা আইএস এর হুমকি মোকাবিলা করতে পারে। আইএস যেন আবার ফিরে না আসতে পারে।

সম্প্রতি ইরাকের পার্লামেন্ট সরকারকে কবে নাগাদ ন্যাটো বাহিনী ইরাক থেকে প্রত্যাহার করা হবে তার একটি সময়সীমা নির্ধারণ করতে বলেছে। পার্লামেন্ট যে সকল দেশ আইএস বিরোধী যুদ্ধে  সাহায্য করেছে তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে। গত ডিসেম্বরে ইরাকের প্রেসিডেন্ট হায়দার আল আবাদি আইএস বিরোধী যুদ্ধে বিজয় ঘোষণা করেন। তিন বছর আইএস সন্ত্রাসীরা ইরাকের এক-তৃতীয়াংশ দখল করে রেখেছিল।

স্টলটেনবার্গ ইরাকে ন্যাটোর একটি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র সফর করে। ন্যাটোর সদস্যরা ইরাকে বৃহৎ পরিসরে প্রশিক্ষণ ও উপদেশ মিশন শুরু করার ব্যাপারে একমত হয়েছে। সে বলে, ট্রাম্প প্রশাসনসহ ন্যাটোর সব দেশই সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে আরো জোরালো ভূমিকা রাখার ব্যাপারে একমত হয়েছে। নিজেদের স্বার্থেও আমাদের ইরাককে সাহায্য করতে হবে। ইরাকের সেনাদের অগ্রগতিরও প্রশংসা করে ন্যাটো প্রধান। সে বলে, ২০১৪ সালের ইরাকি বাহিনী আর ২০১৮ সালের ইরাকি বাহিনীর মধ্যে অনেক পার্থক্য।

ন্যাটা এখন ইরাকী বাহিনীকে বোমা নিষ্ক্রিয়করণ, সামরিক চিকিত্সা, নিরাপত্তা বাহিনীর সংস্কার, দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের প্রশিক্ষণে জোর দেবে।