আর্মেনিয়ার যুদ্ধবিমান-ড্রোন ভূপাতিত করল আজারবাইজান

আন্তর্জাতিক ডেস্ক: সম্ভাব্য যেকোনো ক্ষতি এড়াতে সামরিক স্থাপনাগুলো থেকে নিকটবর্তী জনবসতিগুলোর সাধারণ নাগরিককে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী। এছাড়া আর্মেনিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে বলে দাবি করছে আজারবাইজান। শনিবার (২৪ অক্টোবর) দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে খবরটি নিশ্চিত করেছে তুরস্কের সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি।

এক বিবৃতিতে আজারবাইজানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, শনিবার একটি যুদ্ধে আজারবাইজানের বিমান বাহিনী আগদেরে ও আঘদাম অঞ্চলে আর্মেনিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর তিনটি ট্যাঙ্ক, দুটি আশ্রয়কেন্দ্র এবং চারটি দুর্গ ধ্বংস করেছে।

তবে এ বিষয়ে আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে কোনো ধরনের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

পৃথক বিবৃতিতে প্রতিরক্ষামন্ত্রী বলেন, সায়ুনিক-জাঙ্গিলান সড়কে আর্মেনিয়ান বাহিনীর আক্রমণকে প্রতিহত করেছে আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী। আমাদের সেনা ইউনিটগুলোর তীব্র প্রতিরোধের মুখে শত্রুরা (আর্মেনিয়ার বাহিনী) পিছু হটতে বাধ্য হয়েছে। এ সময় আর্মেনিয়ান বাহিনীর অনেককে বন্দী করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।

বিবৃতিতে আরও বলা, আন্তর্জাতিক আইন অনুসারে যুদ্ধবন্দি ও বেসামরিক নাগরিকদের সমস্ত অধিকার সুরক্ষিত থাকবে এবং আন্তর্জাতিক সংস্থার মাধ্যমে যারা তৃতীয় কোনো দেশে যেতে ইচ্ছুক তাদের জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত তৈরি করা হবে।

এছাড়া শনিবার (২৪ অক্টোবর) পৃথক এক বিবৃতিতে আর্মেনিয়ার একটি যুদ্ধবিমান ও একটি ড্রোন ভূপাতিত করার দাবি জানিয়েছে আজারবাইজান। তবে যুদ্ধবিমানের বিস্তারিত তথ্য এখনও প্রকাশ করেনি আজারবাইজান।

তারা কেবল জানিয়েছে, আজারবাইজানের সীমান্তের উপর দিয়ে গুবাদলির দিকে আর্মেনিয়ার একটি যুদ্ধবিমান যাচ্ছিল। সে সময় বিমানটিকে ভূপাতিত করে আজারবাইজান। একই দিনে আঘধেরে অঞ্চলে আর্মেনিয়ার একটি ড্রোনও ধ্বংস করে আজারবাইজান। এ বিষয়েও আর্মেনিয়ার পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।

বিতর্কিত নাগোরনো-কারাবাখ অঞ্চল নিয়ে গত ২৭ সেপ্টেম্বর সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আর্মেনিয়া-আজারবাইজান। সংঘর্ষে দুদেশেরই এখন পর্যন্ত অনেক সামরিক ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে। রাশিয়ার মধ্যস্থতায় এই দুদেশ যুদ্ধ বিরতিতে গেলেও বারবার তারা সেটি ভেঙে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ছে। যদিও বারবার যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের জন্য তারা একে অপরকেই দোষারোপ করছে।