আরব স্থপতিদের কাছে সমগ্র মানব জাতি কেন চির ঋণী

ডেস্ক: মুসলমানদের মেধা ও প্রযুক্তিগত অগ্রগতি স্থাপত্য শিল্পকে তৎকালীন যুক থেকে অনেক এগিয়ে রেখেছিল । পূর্বের মূর্তি ভিত্তিক স্থাপত্য শিল্পকে মুসলমানরা পরিবর্তন করেছিল জ্যামিতি ও গণিতের প্রয়োগ দ্বারা।  মুসলমানদের স্থাপত্য শিল্পসম্পন্ন মসজিদ গুলোর দিকে এখনও বিশ্ব অবাক হয়ে তাকিয়ে রয় । পরবর্তীতে এটি মুসলমানদের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকেনি সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে । যেমন ইউরোপে গথিক স্টাইলে নির্মিত গীর্জায় শোভিত ছুঁচালো খিলানের আবিষ্কারক হলো মুসলমানরা। এ তীক্ষ খিলান রোমান ও নরম্যানদের ব্যবহৃত খিলানের চেয়ে বহুগুণ শক্তিশালী। এ খিলান ভবনগুলোকে উঁচু, প্রশস্ত ও সুপরিসর করার সুযোগ দেয়। ঠেকনা দেয়া খিলান করা ছাদ, রোজ উইনডোজ ও গম্বুজ তৈরির কলাকৌশলের জন্য মানব জাতি আরব স্থপতিদের কাছে চির ঋণী। পরবর্তীতে ইউরোপীয়রা মুসলমানদের তৈরি উঁচু চূড়া, নিচু পাচিল, ফোকর ও বগাকৃতির টাওয়ার সম্বলিত দুর্গ নির্মাণের কৌশল হুবহু অনুকরণ করেছে। উল্লেখ্য যে পঞ্চম হেনরির বিখ্যাত দুর্গ নির্মাণের স্থপতি ছিলেন একজন মুসলমান।
মুসলমানদের জ্ঞান বিজ্ঞানের অগ্রযাত্রা যদি না থামিয়ে দেয়া হত তাহলে বর্তমান আধুনিক সভ্যতা আরও ১ হাজার বছর এগিয়ে থাকতো।

তথ্যসূত্র: IGSRC