অর্থ পাচারের সুযোগ দিতে চাল আমদানি: মোশাররফ

নিউজ ডেস্ক : দেশে খাদ্য শস্য উদ্ধৃত্ত থাকলেও কৃষকের ক্ষতি করে দলীয় ব্যবসায়ীদের অর্থ পাচারের স্বার্থে সরকার চাল আমদানির সুযোগ রেখেছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।

শুক্রবার গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে বুদ্ধ পূর্ণিমা উপলক্ষে বৌদ্ধ সস্প্রদায়ের সাথে শুভেচ্ছা বিনিময়ের পর আলোচনা সভায় এ অভিযোগ করেন তিনি।

খন্দকার মোশাররফ বলেন, বাংলাদেশের কৃষকরা তাদের উৎপাদিত যে ধান তার মূল্য পাচ্ছে না। মূল্য না পাওয়ার কারণে তাদের সেই পাকা ধান জমিতে পুড়িয়ে ফেলা হচ্ছে। দেশে ২৫-৩০ লাখ টন খাদ্য শস্য উদ্ধৃত্ত আছে। খাদ্য মন্ত্রণালয় কিছু চাল বিদেশে রপ্তানিরও চেষ্টা করছে। অন্যদিকে আবার দেখা যাচ্ছে, সরকার চাল আমদানি করছে।

“আমদানি হচ্ছে কেন? আমদানি হচ্ছে, আসলে যেটা গুঞ্জন তা হচ্ছ- এখানে ওভার ইনভেয়স করে বাংলাদেশ থেকে যারা বিদেশে টাকা পাচার করে দিতে চাচ্ছেন তাদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য এই চাল আমদানি করা হচ্ছে।”

সরকারি-বেসরকারি হিসাবে, দেশে ২৫ থেকে ৩০ লাখ টন চাল উদ্বৃত্ত রয়েছে। কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে এই বাড়তি চাল রপ্তানির বিষয়টিও বিবেচনা করা হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে কেন দেশে চাল আমদানি হচ্ছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।

বিএনপি নেতা মোশাররফ বলেন, “খাদ্য শস্য যেখানে আমাদের উদ্ধৃত্ত আছে, কৃষকরা যেখানে ধান পুঁড়িয়ে ফেলেছে মূল্য পায় না বলে সেখানে কোন যুক্তিতে বিদেশ থেকে চাল আমদানি করা হচ্ছে যদি সেখানে ষড়যন্ত্র না থাকে; টাকা পাঁচারের ষড়যন্ত্র না থাকে; ওভার ইনভেয়সিং করে অতি লাভ করার দুরভিসন্ধি না থাকে? খবর নিয়ে দেখেন যারা করছেন তারা হচ্ছেন বর্তমান সরকারের ব্যবসায়ী, তাদের সমর্থিত ব্যবসায়ী।”