অন্যায় করে উপজাতিরা, অপপ্রচার হয় বাঙ্গালি ও সেনাদের নামে

অপপ্রচার বাঙ্গালি ও সেনাদের নামে

নিজস্ব প্রতিবেদক: বিভিন্ন পত্রপত্রিকা ও টিভিতে প্রায়ই রিপোর্ট আসছে উপজাতিদের বিশেষ করে চাকমাদের কিছু সংগঠন প্রায়ই অভিযোগ করে যে, সরকার প্রায় ২০-বছরেও শান্তিচুক্তি বাস্তবায়ন করেনি। এ জন্য তারা অস্ত্র হাতে নেয়ার পক্ষে যুক্তি দেয় ও সেনাদের পাহাড় থেকে তাড়ানোর নানাবিধ যুক্তি প্রদর্শন করে থাকে।

বাঙ্গালিরা অনেকেই বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব না দিয়ে এড়িয়ে না। কিন্তু এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শান্তিচুক্তির আগে একটা মাত্র সংগঠন (জনসংহতি সমিতি) অস্ত্র হাতে নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করেছিল। কিন্তু শান্তি চুক্তির পর বর্তমানে পাহাড়ে উপজাতিদের সন্ত্রাসী সংগঠন হচ্ছে ৪টি। ভারী অস্ত্রে সজ্জিত এ ৩ গ্রুপের ১৮শ’ সন্ত্রাসী পাহাড়ে বাঙ্গালিদের প্রতি চাঁদাবাজি, জুলুম, অত্যাচার করছে। এই তিন গ্রুপের সদস্য সংখ্যা প্রায় ১৮শ’।

তারা বাংলাদেশ, ভারত ও মিয়ানমার সেনাবাহিনীর পোশাক ব্যবহার করে থাকে। এর মধ্যে জেএসএস (সন্তু) গ্রুপের রয়েছে প্রায় ৯শ’ জন সশস্ত্র সন্ত্রাসী। তাদের অধীনে রয়েছে সামরিক কায়দায় ৬টি কোম্পানি। জেএসএস (সংস্কার) এর রয়েছে ২টি কোম্পানি। তাদের সশস্ত্র সন্ত্রাসীর সংখ্যা প্রায় পৌনে ৩শ’। আর ইউপিডিএফ এর ৪টি কোম্পানির অধীনে রয়েছে প্রায় ৭শ’ সশস্ত্র সদস্য। তারা বিভিন্ন দেশ থেকে অত্যাধুনিক অস্ত্র সংগ্রহ করছে। আর অস্ত্র কেনা ও নিজেদের সংগঠন চালানোর জন্য তারা চাঁদা আদায় করছে সাধারণ মানুষ, চাকরিজীবী ও ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে । ফলে জিম্মি হয়ে পড়েছে তিন পার্বত্য জেলার সাধারণ মানুষ। প্রাণ ভয়ে তারা কেউই আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে যেতে সাহস পায়না। সম্প্রতি পার্বত্য অ ল নিয়ে নিবিড়ভাবে কাজ করছেন এমন একটি গোয়েন্দা সংস্থার প্রতিবেদনে এ সব তথ্য উঠে এসেছে বলে বিভিন্ন সূত্র দাবী করেছে।

জেএসএস, ইউপিডিএফ (প্রসীত খীসা) এবং ইউপিডিএফ (গণতান্ত্রিক)। সংস্কারবাদী নামে গড়ে ওঠা সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাসরত মানুষের কাছ থেকে নিয়মিত ও অনিয়মিতভাবে জোর-জবরদস্তি করে চাঁদা আদায় করে, আদায়কৃত চাঁদার টাকা দিয়ে অস্ত্র কেনে এবং সেই অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে আরো বেশি চাঁদা আদায় করে। চাঁদা দিতে হচ্ছে স্থানীয় বাজারে কৃষিপণ্য বেচতে গেলেও।

এক বেসরকারি অনুসন্ধানে দেখা গেছে, মূলত উপজাতি এ সন্ত্রাসী সংগঠনগুলোর উগ্র সন্ত্রাসিদের কারণে শান্তিচুক্তি পুরো বাস্তবায়ন করা যাচ্ছে না। তারা অনেক বাঙ্গালিকে তাদের সরকার বরাদ্ধ খাস জমিতে যেতে দেয় না। তারা প্রচার করে, ওসব জমি তাদের। দরিদ্র বাঙ্গালিদের তারা খুব ঘৃণার চোখে দেখে। তারা পাহাড়ে যে কোন উন্নয়নের বিরুদ্ধে, সেনাদের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশের বিরুদ্ধে, বাংলাদেশ সংবিধানের বিরুদ্ধে, বর্তমান সরকারের বিরুদ্ধে। সাজেকের পথে পথে তারা বাংলাদেশ সরকার ও সেনাবাহিনী বিরুদ্ধে পোস্টার সেটে রাখছে।