সন্ত্রাসী দেশ আমেরিকার সন্ত্রাসদমন, গায়ে মানে না আপনি মোড়ল
ডা. মুহম্মদ আল মা’রূফঃ বাংলায় কথায় আছে, “গায়ে মানে না, আপনি মোড়ল” আমেরিকার অবস্থাও তাই। যে আমেরিকা আদিবাসী রেড ইন্ডিয়ানদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে নিজেদের সভ্য দেশ দাবি করে, সে আমেরিকা নির্লজ্জ আর বেহায়া জাতি ছাড়া কিছুই নয়। খুন, রাহাজানি, দখল, মানবাধিকার লঙ্ঘন, বাক স্বাধীনতা হরণ, ধর্মীয় অধিকার ক্ষুন্নকরণ আমেরিকার জাতীয় পরিচিতি। তারাই আবার মানবাধিকার আর বাক স্বাধীনতার কথা বলে!
বাংলাদেশে কোন এক নাস্তিক সমকামী মারা গেছে আর তাতেই আমেরিকার মানবাধিকার, বাক স্বাধীনতার চেতনা জ্বলে উঠেছে? তারা-নাস্তিক হত্যার বিচার দাবি করছে, বিচার বহির্ভুত হত্যাকা-ের বিষয়ে কথা বলছে, বাক স্বাধীনতার কথা বলছে, বাংলাদেশে হত্যার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করছে। অথচ এই আমেরিকা হলো বিচার বহির্ভুত হত্যাকা-ের সুতিকাগার। যে দেশে প্রতিদিন অসংখ্য গুলির ঘটনা ঘটে, পুলিশ মানুষ মেরে ফেলে, যখন তখন হত্যা করে।
যার কিছু নমুনা আপনাদের জানাচ্ছি- আমেরিকা বলেছে- বিচারবহির্ভূত হত্যা ও গুম বাংলাদেশে সবচেয়ে ভয়াবহ সমস্যা, অথচ আমেরিকাতেই প্রতিদিন ৩৩ জন বিচার বহির্ভূত হত্যার শিকার, আমেরিকায় ২০১৫ বছর পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে প্রায় ১০০০ ব্যক্তি, আমেরিকায় প্রতি সপ্তাহে গড়ে একটি করে গুলি চালানোর ঘটনা ঘটায় শিশুরা, বন্দুকের গুলিতে যুক্তরাষ্ট্রে দৈনিক গড়ে ৩৩ জনের প্রাণ যাচ্ছে, আমেরিকায় প্রতিদিন গড়ে ৩ জন মহিলার মৃত্যু হয় তাদের সঙ্গীর হাতে, আমেরিকায় বন্দুকের গুলিতে ২ বছরে মরেছে অন্তত ৩০০০০ মানুষ।
এমন হাজার হাজার ঘটনা প্রতিনিয়ত আমেরিকায় ঘটছে। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে আমেরিকায় বিচার বলতে কিছুই নাই, মানুষের নিরাপত্তা নাই। যে যখন খুশি তখন হত্যা করে। এমনকি আমেরিকার পুলিশ ও পাখির মতো মানুষ মারে। তাহলে যে আমেরিকা নিজের দেশেই খুনের বিচার করতে পারছেন া, খুনাখুনি থামাতে পারছে না, মানবাধিকার ও বাক স্বাধীনতা রক্ষা করতে পারছে না, সে আমেরিকা বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলে কি করে?
বাংলাদেশ কি আমেরিকার বিষয়ে হস্তক্ষেপ করে? তাহলে আমেরিকাকে কে অধিকার দিলো বাংলাদেশের বিষয়ে হস্তক্ষেপ করার? আমাদের দেশ আমরা বুঝবো, তোদের কি? একটা স্বাধীন দেশের আভ্যন্তীরণ বিষয়ে কথা বলার দুঃসাহস পেল কোথায়? সরকার এবং জনগণকে সচেতন হয়ে আমেরিকার অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রকে নস্যাৎ করে দিতে হবে।
লেখক: চিকিৎসক, গবেষক, কলামিস্ট।