ভ্যালেন্টাইন ডে সম্পর্কে ইসলাম কি বলে?
মাওলানা মুফতি মুহম্মদ শোয়ায়েব আহমদ: আল্লাহ পাক ইরশাদ করেন, ‘তোমরা কাফির ও মুনাফিকদের অনুসরণ করো না।’
আখেরী নবী হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ইরশাদ ফরমান, ‘যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখবে তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।’
তাই ইসলামী শরীয়ার দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী তথা বেদ্বীন ও বদদ্বীনদের দ্বারা প্রবর্তিত কোনো দিবসই পালন করা জায়িয নেই।
তা ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হোক অথবা অন্য কোনো দিবস হোক, সেটা পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী।
ইসলামী শরীয়া মুতাবিক মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে, ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু-বৌদ্ধ, মজুসী তথা বেদ্বীন ও বদদ্বীনদের দ্বারা প্রবর্তিত সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা থেকে নিজে বিরত থাকা ও অন্যকে বিরত রাখা।
ইসলামী শরীয়ার দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। কারণ ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ হচ্ছে- কাফির-মুশরিক, বেদ্বীন-বদদ্বীনদের নিয়ম-নীতি বা তর্জ-তরীক্বা। নাউযুবিল্লাহ!
তথাকথিত দিবস মূলত নোংরামী বিস্তারের দিবস। পাশ্চাত্যে নোংরা ও বেহায়া দিবস প্রচলনের পেছনে ছিলো ব্যবসায়ীদের স্বার্থ। পাশাপাশি এদেশে তা প্রবর্তনের পেছনে আছে ইহুদী ও খ্রিস্টানদের ব্যবসায়িক স্বার্থ ও সুদূরপ্রসারী ইসলামবিরোধী ষড়যন্ত্র।
নোংরা ও বেহায়া দিবসের ইতিহাস সম্পর্কে The new Encyclopedia Britannica I Encyclopedia Americana-সহ আরো বহু বইপুস্তকে বর্ণিত রয়েছে, “রোমান এক খ্রিস্টান পাদ্রি সেন্ট ভ্যালেন্টাইনের নামানুসারেই পোপ প্রথম জুলিয়াস ৪৯৬ খ্রিস্টাব্দে ১৪ ফেব্রুয়ারিকে ‘সেন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে’ হিসেবে ঘোষণা দেয়।
নোংরা ও বেহায়া দিবস কখনোই এদেশীয় অর্থাৎ বাঙালি সংস্কৃতির অংশ ছিলো না। আর মুসলমানদের সংস্কৃতি তো নয়ই। বরং তা সম্পূর্ণরূপেই বিজাতীয়, বিধর্মীয় তথা পশ্চিমা ইহুদী-নাছারাদের প্রবর্তিত নিয়ম-নীতি, তর্জ-তরীক্বা; যা অনুসরণ করা মুসলমান উনাদের জন্য কাট্টা হারাম ও শক্ত কুফরী। এ প্রসঙ্গে পবিত্র হাদীছ শরীফ উনার মধ্যে ইরশাদ মুবারক হয়েছে, “যে ব্যক্তি যে সম্প্রদায়ের সাথে মিল রাখে সে তাদের দলভুক্ত এবং তার হাশর-নশর তাদের সাথেই হবে।”
অর্থাৎ যারা নোংরা ও বেহায়া দিবস পালন করবে তাদের হাশর-নশর ইহুদী-নাছারা তথা বিধর্মীদের সাথেই হবে।
মূলকথা হলো- ইসলামী শরীয়ার দৃষ্টিতে মুসলমানদের জন্য ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী তথা বেদ্বীন ও বদদ্বীনদের দ্বারা প্রবর্তিত কোনো দিবসই পালন করা জায়িয নেই। তা ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’ দিবস’ই হোক অথবা অন্য কোনো দিবস হোক- সেটা পালন করা সম্পূর্ণরূপে নাজায়িয, হারাম ও কুফরী। সলামী শরীয়া মুতাবিক মুসলমানদের জন্য ফরয হচ্ছে- ইহুদী-নাছারা, কাফির-মুশরিক, হিন্দু, বৌদ্ধ, মজুসী তথা বেদ্বীন ও বদদ্বীনদের দ্বারা প্রবর্তিত সর্বপ্রকার কুফরী ও হারাম প্রথা পালন করা থেকে নিজে বিরত থাকা ও অন্যকে বিরত রাখা।
লেখক: গবেষক, ইসলামী চিন্তাবিদ।