পাকিস্থানের তুলনায় পিছিয়ে ভারতের বিমান বাহিনী
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ভারতীয় বিমান বাহিনী বৃহত্তম হওয়ার পরেও নানা ক্ষেত্রে পাকিস্তানের তুলনায় পিছিয়ে রয়েছে তারা। এসব বিষয় অনেককেই হয়তো ভাবিয়ে তুলছে। খবর পার্স ট্যুডে।
পাইলট এবং বিমানের আনুপাতিক হার, লক্ষ্যভেদ অনুশীলন এবং স্কোয়াড্রোনের শক্তির ওপর বিমান বাহিনীর অনেক কিছু নির্ভর করে। ভারতীয় বিমান বাহিনীতে বর্তমানে বিমান প্রতি একজন পাইলট রয়েছে। অন্যদিকে পাক বিমান বাহিনীর রয়েছে ২ জন আবার কখনও তারও বেশি। প্রতিরক্ষা বাহিনীর শীর্ষস্থানীয় সূত্রগুলো এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
তারা বলছেন, এর অর্থ দাঁড়াচ্ছে সর্বাত্মক যুদ্ধ বাঁধলে ভারতের তুলনায় পাকিস্তান কার্যকরভাবে দিনরাত অভিযান চালিয়ে যেতে সক্ষম হবে। এর কারণ ব্যাখ্যা করে বলা হয়েছে, একটি যুদ্ধ বিমান দিনে ছয় দফা অভিযান চালাতে সক্ষম হলেও বিমান চালক মানবিক সীমাবদ্ধতার বাঁধা কাটিয়ে উঠতে পারেন না।
অন্যদিকে বোমা বর্ষণে দক্ষ হওয়ার জন্য ভারতীয় বিমান বাহিনীর কম্পিউটারভিত্তিক অনুশীলনের ওপর নির্ভর করতে হয়। ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় এয়ার কমান্ডকে পুরো পাকিস্তান এবং চীনের অংশ বিশেষের ওপর নজরদারি চালাতে হয়। বড় এবং শক্তিশালী বোমা বর্ষণ অনুশীলনের জন্য এই কমান্ডের আওতায় একটাও ফায়ারিং রেঞ্জ নেই।
পাশাপাশি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে অনেক উঁচুতে অবস্থিত ভূখণ্ডে বোমা বর্ষণ অনুশীলনের উপযোগী কোনো ফায়ারিং রেঞ্জও নেই তাদের। অথচ ভারতের উত্তর এবং পূর্বে চীনের অনেক ঘাঁটিই এ রকম উচ্চতায় অবস্থিত।
বরাদ্দ অনুযায়ী ভারতের যুদ্ধ উপযোগী ৪২টি স্কোয়াড্রন এবং সাড়ে ১২ হাজার কর্মকর্তা রয়েছে। অর্থাৎ প্রতি স্কোয়াড্রনে ১৬ থেকে ২০টি যুদ্ধ বিমান থাকার কথা।
এ বরাদ্দ ১৯৭০-এর দশকে দেয়া হয়েছে। প্রতি বছর গড়ে বরাদ্দকৃত কর্মকর্তার ঘাটতি ২ শতাংশ করে বাড়ছে। অন্যদিকে বরাদ্দ অনুযায়ী ৪২টি স্কোয়াড্রোন থাকার কথা থাকলেও ভারতে বর্তমানে রয়েছে মাত্র ৩০টি স্কোয়াড্রন। এতে পাইলট এবং বিমানের আনুপাতিক হার দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ৫। অবশ্য স্কোয়াড্রোন বাড়লে এ হার কমে আসবে। ভারত এ হারকে ২ দশমিক ২-য়ে নিয়ে যেতে চাইছে।
গত বছর ‘গগন শক্তি’ নামে বিশাল যুদ্ধ-মহড়া চালিয়েছিল ভারতীয় বিমান বাহিনী। পুরো ভারতজুড়েই চালানো হয়েছে এই মহড়া। দু’টি রণাঙ্গন এবং দিনরাত অভিযানকে সামনে রেখে চালানো হয় ‘গগন শক্তি।’ ৪৮ বছরের নিচে এবং স্বাস্থ্যগতভাবে সক্ষম বিমান বাহিনীর সব কর্মকর্তাকে এ মহড়ায় যোগ দিতে হয়েছিল।
সাধারণভাবে উইং কমান্ডারের ওপরের পদ মর্যাদার পাইলটরা বিমান চালান না। তাদেরকে প্রাত্যহিক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালনে ব্যস্ত থাকতে হয়। কিন্তু ‘গগন শক্তি’র সময় এসব কর্মকর্তাকে তালিকাভুক্তি করা হয়েছিল। তাতেও পাইলট এবং বিমানের আনুপাতিক হার ২-য়ের উপর ওঠেনি।