পাঁচ বছরে জাপানের জনসংখ্যা কমেছে ১০ লাখ!
নিউজ নাইন২৪ডটকম, ডেস্ক: গত পাঁচ বছরে জাপানের জনসংখ্যা কমে গেছে দশ লাখ। ১৯২০ সালের পর এই প্রথম জাপানের জনসংখ্যা কমলো।
গত অক্টোবরের সর্বশেষ জনশুমারি অনুযায়ী জাপানের জনসংখ্যা এখন ১২ কোটি ৭০ লাখ। এর আগের জনশুমারির তুলনায় এটি দশমিক সাত শতাংশ কম।
জনসংখ্যা বিশেষজ্ঞরা বহুদিন ধরেই আশংকা প্রকাশ করছিলেন যে জাপানের জনসংখ্যা কমবে। এর কারণ জাপানের খুবই নিম্ন জন্মহার। এছাড়া জাপানে অভিবাসনের হারও খুবই কম।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সামনের বছরগুলোতে জাপানে জনসংখ্যা আরও কমবে। সেই সঙ্গে বাড়বে প্রবীণ মানুষের সংখ্যা।
সরকারি পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০৬০ সাল নাগাদ জাপানের মোট জনসংখ্যার চল্লিশ শতাংশই হবে ৬৫ বছর বা তার বেশি বয়সী।
জনসংখ্যা বাড়াতে জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনযো আবে নানা রকম কর্মসূচী নিয়েছেন। জাপানে মহিলা পিছু জন্মহার এক দশমিক চার থেকে এক দশমিক আটে উন্নীত করতে চায় সরকার।
উন্নত দেশগুলোতে জনসংখ্যা যদি স্থিতিশীল রাখতে হলে অন্তত দুই দশমিক এক জন্মহার প্রয়োজন হয়। জাপানের বর্তমান জন্মহার তার অনেক নীচে।- বিবিসি
জাপানকে বলা হয় ভূমিকম্পের দেশ। দেশটিতে ২০১১ সালের ১১ মার্চ এক ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হানে। ৯.০৩ মাত্রার এই ভূমিকম্পে ১৫ হাজার ৮৭৮ জন মারা যায়। আহত হয় প্রায় সাড়ে ছয় হাজার মানুষ। নিখোঁজ হয় প্রায় তিন হাজার মানুষ। শহরের প্রায় দেড় লাখ বাড়ি ধ্বংস হয়ে যায়। দেশটির একটি পারমাণবিক স্থাপনা মারাত্মক ক্ষতি হয় এবং ভয়ানক তেজস্ক্রিয় পদার্থ বায়ুতে ছড়িয়ে যায়। সে অবধি আজো দেশটিতে জনসংখ্যা ক্রমশ হ্রাস পাচ্ছে। সরকারি কিংবা বেসরকারি কোন গণমাধ্যমে জাপানের দুর্দশার কথা প্রকাশিত না হলেও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে সেখানকারর অধিবাসীরা একে অপরের সাথে শেয়ার করছে নানা দুর্দশার কথা ও চিত্র। এমনকি জাপানের জনসংখ্যা হ্রাস নিয়ে সম্প্রতি বিবিসি’র প্রকাশিত তথ্যও পুরোপুরি সঠিক নয় বলে মন্তব্য করেছে কিছু বেসরকারি জরিপ সংস্থা। তাদের মতে জনসংখ্যা হ্রাসের তথ্যটিতে প্রকৃত সংখ্যা গোপন করা হয়েছে। বরং এরচেয়ে বহুগুণে জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে।