জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে ক্ষমা চাক বিএনপি: তথ্যমন্ত্রী
নিউজ ডেস্ক:
মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপিত প্রস্তাবে জামায়াতে ইসলামীর সমালোচনার কথা উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপির উচিত দলটির সঙ্গে জোট করার দায়ে বিএনপির ক্ষমা প্রার্থনা করা। বুধবার (৬ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত তথ্য কমিশনে ‘অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় তথ্য আইনের ব্যবহার’ শীর্ষক কর্মশালা উদ্বোধনের পর সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। তার সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদ, তথ্য সচিব আবদুল মালেক, তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি ও নেপাল চন্দ্র সরকার।
সম্প্রতি জামায়াতে ইসলামী ও তাদের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট চরমপন্থী দলগুলোকে দক্ষিণ এশিয়ার স্থিতিশীলতা, ধর্মনিরপেক্ষতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি আখ্যা দিয়ে মার্কিন কংগ্রেসে একটি প্রস্তাব আনা হয়েছে। প্রস্তাবে ধর্মভিত্তিক রাজনৈতিক শক্তিকে ধর্মীয় স্বাধীনতা ও আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবেও চিহ্নিত করা হয়েছে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের ভেতরে ও বাইরে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত সব প্রতিষ্ঠানে ইউএস এইড, মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর, হোমল্যান্ড সিকিউরিটিসহ প্রাসঙ্গিক অন্যান্য সংস্থার তহবিল সরবরাহ বন্ধ করা উচিত। বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের মতো দেশেরও উচিত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, মার্কিন কংগ্রেসে উত্থাপিত প্রস্তাবনায় জামায়াতে ইসলামী এবং সংশ্লিষ্ট সংগঠনগুলোর সঙ্গে দেশের অন্যান্য রাজনৈতিক দলগুলোকে সম্পর্ক ছিন্ন করতে এবং সরকারকে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। আশা করি, মার্কিন কংগ্রেসের এই প্রস্তাবের পর বিএনপি অতি শীঘ্র জামায়াতের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে ঘোষণা দিয়ে তাদের সঙ্গে জোট করার জন্য জাতি এবং বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে ক্ষমা চাইবে।
ড. হাছান মাহমুদের ভাষ্য, ‘আমরা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এতদিন যে আহ্বান জানিয়ে আসছিলাম, সেটিই মার্কিন কংগ্রেসের প্রস্তাবনায় প্রতিধ্বনিত হয়েছে। জামায়াতে ইসলামীর আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হচ্ছে বিএনপি। জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে জোট গঠন করে তারা নির্বাচন করেছে, সরকার গঠন করেছে। এখনও ২২ দলীয় জোটের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী আছে। অপরদিকে সরকারের পক্ষ থেকে জামায়াতে ইসলামীর বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করা হয়েছে এবং জামায়াত নিষিদ্ধের বিষয়টি আদালতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তাদের সঙ্গে যুক্ত ও জঙ্গি তৎপরতায় লিপ্ত সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধেও ইতোমধ্যে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু দেশের একটি বড় রাজনৈতিক দল বিএনপি যখন জামায়াতের আশ্রয়-প্রশ্রয়দাতা হয়, তাদের জোটের মধ্যে যখন জামায়াত থাকে, তখন তাদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণ করার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা তৈরি হয়।’
প্রধান তথ্য কমিশনার মরতুজা আহমদের সভাপতিত্বে কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন তথ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেক। কর্মশালায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন সাবেক প্রধান তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. মো. গোলাম রহমান। প্রশিক্ষণ পরিচালনা করেন তথ্য কমিশনার নেপাল চন্দ্র সরকার এবং তথ্য অধিকার আইন বিষয়ক অনলাইন ট্র্যাকিং সিস্টেম উপস্থাপন করেন তথ্য কমিশনার সুরাইয়া বেগম এনডিসি।