কলকাতা-ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসে বাংলাদেশি নারীর শ্লীলতাহানি!
নিউজনাইন ডেস্ক:
ভারতের কলকাতা ও বাংলাদেশের ঢাকার মধ্যে চলাচলকারী মৈত্রী এক্সপ্রেসের মধ্যেই এক বাংলাদেশি নারীর শ্লীলতাহানির অভিযোগ উঠেছে ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা বিএসএফ’এর বিরুদ্ধে। ট্রেনের নিরাপত্তার দায়িত্ব যার হাতে থাকে সেই রক্ষকের হাতে একজন নারীর সম্মান নষ্ট করার ঘটনায় সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
জানা গেছে, সোমবার সকালে কলকাতার চিৎপুর স্টেশন থেকে মৈত্রী এক্সপ্রেসটি ঢাকার উদ্দেশে ছাড়ে। যাত্রাপথেই ট্রেনের শৌচালয়ে যান ৩৫ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশি নারী। সেখানেই এক বিএসএফ জওয়ান তার শ্লীলতাহানি করেন বলে অভিযোগ। লোক লজ্জার ভয়ে সেসময় ওই বাংলাদেশি নারী নীরব থাকলেও, মৈত্রী এক্সপ্রেস গেদে সীমান্তে পৌঁছানোর পরই রেলের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অভিযোগ জানান ওই নারী। ওই বাংলাদেশি নারীর সাথে তাঁর স্বামীও ট্রেনে ভ্রমণ করছিলেন বলে জানা গেছে।
রেল সূত্রের খবর কলকাতা স্টেশন ছেড়ে মৈত্রী এক্সপ্রেস বেরিয়ে আসার পর চলন্ত ট্রেনের ভিতরই দমদম ও ব্যারাকপুর রেল স্টেশনের মাঝেই কোন একটি জায়গায় এই শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটেছে। ফলে এই তদন্তের ভার পড়েছে গর্ভমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)-এর দমদম শাখার ওপর।
ট্রেনের মধ্যে এরকম একটি ন্যাক্কারজনক ঘটনার কথা স্বীকার করে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ কর্মকর্তা রবি মহাপাত্র জানান ‘ওই ট্রেনটির এসকর্টের দায়িত্বে থাকে বিএসএফ। তাদের এক জওয়ানের বিরুদ্ধে একটি এফআইআর হয়েছে। আজ সকালের দিকে ৩৫ বছর বয়সী ওই বাংলাদেশ নারী জিআরপি’এর কাছে এই অভিযোগ দায়ের করেছেন’। অভিযোগের ভিত্তিতে দমদম গর্ভমেন্ট রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি) ইতিমধ্যেই ওই তদন্ত শুরু করেছে বলেও জানান রেলের ওই কর্মকর্তা।
তাহলে প্রশ্ন থেকেই যায় বাংলাদেশি নারীরা কি ভারতের সীমান্তরক্ষি বাহিনীর কাছে নিরাপদ ! যদি নিরাপদ না হয় তাহলে দুই দেশের মধ্যে কি করে যাতায়াত ও ব্যবসা বাণিজ্য চলবে?
কারণ যখন বাংলাদেশী নারীরা ভারতে নিরাপত্তাহীনতায় ভূগবে , তখন তারা আর ভারতে যেতে চাইবে না । তাহলে দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক্যের অবনতি হবে। সেটা হওয়ায় স্বাভাবিক এবং এটার বিরুদ্ধে বাংলাদেশের শক্ত প্রতিবাদ করা উচিৎ।
নিউজনাইন টুয়েন্টিফোর ডটকম/এমএএস