এবার বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে চলবে পণ্যবাহী জাহাজ
ঢাকা: সমুদ্রপথে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে নিজেদের রানং বন্দরের সংযোগ করতে চায় থাইল্যান্ড। এ সংক্রান্ত একটি সমঝোতা চুক্তি করার বিষয়েও সম্মত হয়েছে দুই দেশ। চুক্তি হলে উভয় দেশের মধ্যে পণ্যবাহী জাহাজ চলাচল করতে পারবে।
আজ মঙ্গলবার নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ে দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে অনুষ্ঠিত এক বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বৈঠকে ব্যবসা-বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের লক্ষ্যে সরাসরি সমুদ্রপথে বাংলাদেশ-থাইল্যান্ডের মধ্যে যোগাযোগ গড়ে তোলাসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়।
বৈঠকে অশোক মাধব রায় তার বিশ্বাস তুলে ধরে বলেন, সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম বন্দরের সঙ্গে থাইল্যান্ডের রানং বন্দরে জাহাজ চলাচল করবে। এতে সময় যেমন কমবে তেমনি ব্যয়ও তিনভাগের এক ভাগে নেমে আসবে।
‘এই জাহাজ চলাচল শুরু হলে মায়ানমার ছাড়াও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও যোগাযোগের ব্যবস্থা আরও উন্নত হবে’ বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বৈঠক সূত্র জানা যায়, ১৯৮৮ সালে বাংলাদেশ এবং থাইল্যান্ডের মধ্যে মেরিটাইম সহায়তা চুক্তি সম্পন্ন হয়। যদিও বর্তমানে তা অকার্যকর হয়ে গেছে।
বৈঠকে নৌ-পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব অশোক মাধব রায় বাংলাদেশ প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন।
আর থাই প্রতিনিধি দলে ছিলেন-দেশটির কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তা লে. জেনারেল প্রজাকশ্রিওথানান্দ।
বৈঠকে থাইল্যান্ডে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত সাইদা মুনা তাসনিমসহ উভয় দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।